بِسْــــــــــــــــــمِ-اﷲِالرَّحْمَنِ-اارَّحِيم
হজ্জের ফরজ তিনটিঃ(১) হজ্জের নিয়ত করা, (ইহরাম বাধা এবং তালবিয়া পাঠ করাকে) নিয়তের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়।
(২) ওকুফে আরাফা অর্থাৎ নয়ই জিলহজ্জ দ্বিপ্রহরের পর আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।
(৩) তাওয়াফে যিয়ারাত করা বা ফরজ তাওয়াফ করা।
হজ্জের ওয়াজিব ছয়টিঃ
(১) সাফা ও মারওয়া সায়ী করা।
(২) ৯ই জিলহজ্জ দিবাগত রাতে ইশার ওয়াক্তে মুজদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করা।
(৩) ১০, ১১, ১২ জিলহজ্জ জামারাতে কংকর নিহ্মেপ করা।
(৪) হজ্জে কিরান ও তামাত্তুকারীদের জন্য দমে শুকুর(কুরবানী করা)
(৫) মাতার চুল মুন্ডানো বা ছাঁটা (মেয়েদের চুলের অগ্রভাগ এক ইঞ্চি পরিমান কাটা)
(৬) যারা মক্কাবাসী নন তাদের জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করা (তাওয়াফে বেদা)
হজ্জের সুন্নাত সমূহঃ
(১) ইহরাম বাধার নিয়তে গোসল করা।
(২) হজ্জে ইফরাদ, কিরানকারীদের তাওয়াফে কুদুম করা।
(৩) যে তাওয়াফের পর সায়ী আছে সেই তাওয়াফে রমল ও ইযতিবা করা।
(৪) ইহরামের জন্য তিন জায়গায় খুৎবা দোওয়া।
(৫) মিনায় অবস্থান করা।
(৬) ৯ই জিলহজ্জ সূর্যদয়ের পর আরাফায় যাওয়া।
(৭) আরাফায় অবস্থানের জন্য যোহরের পূর্বে গোসল করা।
(৮) আরাফা থেকে সূর্যাস্তের পর মুযদালিফায় গিয়ে রাত্রি যাপন করা।
(৯) প্রত্যেক তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করা এবং হজের আসওাদকে চুম্বন করা ( সম্ভব হলে)
(১০) হজরে আসওয়াদ চুম্বন করা।
(১১) সায়ী করার সময় সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে কিছুটা আরোহন করা।
(১২) প্রত্যেক তাওয়াফের পর দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়া।
(১৩) সায়ী করার সময় বাতনুল ওয়াদী ( অর্থাৎ সবুজ পিলার দ্বয়ের মাঝে) দৌড়ে চলা পুরুষদের জন্য এবং বাকী স্থান সাধারণ গতিতে হেঁটে চলা।
(১৪) ৮ই জিলহজ্জ মক্কা শরীফ হতে মিনায় গিয়ে যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজর মোট পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এবং রাতে মিনায় অবস্থান করা।
ওমরাহর ফরজ দুটিঃ
(১) ইহরাম বাধা
(২) তাওয়াফ করা।
ওমরাহর ওয়াজিব দুইটিঃ
(১) সাফা মারওয়া সায়ী করা
(২) মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটা।
{ কিতাবুল হজ্জ ও ওমরাহ | পৃ: ১০-১২}
(পড়া চালু রাখু)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন