এক নজরে পবিত্র হজ্জ (পর্ব-১১) - Alhera-1

""আল্লাহ'র বিধান ছাড়া কোন বিধান মানি না""

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯

এক নজরে পবিত্র হজ্জ (পর্ব-১১)

‎بِسْــــــــــــــــــمِ-اﷲِالرَّحْمَنِ-اارَّحِيم‎
৮ই জিলহজ্জঃ
(১ম দিন)
অদ্য পবিত্র হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মিনায় আসেন। অদ্যকার জহুরের সালাত থেকে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও মিনায় রাত্রি যাপন করা সুন্নাত। 
৯ই জিলহজ্জঃ
(২য় দিন)
আজ আপনাকে মুয়াল্লিমের গাড়ীতে করে আরাফায় নিয়ে আপনার নির্ধারিত তাবুতে পৌছে দিবে। সেখানে ইস্তেন্জা, গোসল ও ওজু শেষে তাবুতে বসে নাস্তা-পানি খেয়ে নিন।
অতঃপর দুআ, দুরুদ, ইস্তিগফার করতে থাকুন। সম্ভব হলে মাসজিদে নামিরায় চলে যান এবং পবিত্র হজ্জের ইমামের পিছনে জহুর ও আছরের সালাত এক সাথেই আদায় করুন। সম্ভব না হলে নিজ তাবুতে জহুরের সময় জহুরের সালাত ও আসরের সময় আসরের সালাত সাথীদের নিয়ে জামাতের সাথে আদায় করুন। আরাফাতে উকুফ (অবস্থান) হলো- পবিত্র হজ্জের মূল রুকন (ফরজ)। এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকা ওয়াজিব। চলে আসলে দম নিতে হবে। সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফা ত্যাগ করুন। মুজদালিফায় পৌছে ইশার নামজের ওয়াক্তে মাগরিব ও ইশার সালাত এক সাথে আদায় করুন (ওয়াজিব)। প্রথম মাগরিব পরে ইশা ও ভিতির। এখন থেকেই ৭০টি কংকর সংগ্রহ করুন, মিনায় জামরাতে নিহ্মেপ করার জন্য।
১০ জিলহজ্জঃ
(৩য় দিন)
সুবেহ সাদেকের পর কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান (ওয়াজিব)। 
ফজরের সালাত শেষে সূর্যোদয়ের পূর্বে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করা (সুন্নাত)। মিনয় পৌছেঁ দুপুরের পূর্বে জামারায়ে আকাবায় ৭টি কংকর নিহ্মেপ করা (ওয়াজিব)। কুরবানী বা দমে শুকর আদায় ( তামাত্তু ও কিরান হাজীদের জন্য ওয়াজিব) 
*মাথ মুন্ডানো বা ছেঁটে হালাল হওয়া (ওয়াজিব) উপরোক্ত কাজ গুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
*মিনা থেকে মক্কা শরীফ পৌছে তাওয়াফে জিয়ারত করা(ফরজ)।
*সায়ী করা (ওয়াজিব) মিনায় এসে রাত্র যাপন (সুন্নাত) 
*১০ তারিখে তাওয়াফে জিয়ারত করা অসম্ভব হলে ১১-১২ তারিখে সূর্যাস্ত পর্যন্ত করা যাবে।
১১ জিলহজ্জঃ
(৪র্থ দিন)
আজ দ্বি-প্রহরের পর প্রথম ছোট শয়তান (জামারায়ে সুগরা) অতঃপর মেঝো শয়তান (জামারায়ে উস্তা) শেষে বড় শয়তানকে (আকাবায়)  সাতটি করে মোট একুশটি কংকর  নিহ্মেপ করতে হবে। (ওয়াজিব) অদ্য মিনায় অবস্থান (সুন্নাত)। 
১২ জিলহজ্জঃ
(৫ম দিন)
গত কালের ন্যায় দুপুরের পর তিনটি জামরাতে মোট একুশটি কংকর নিহ্মেপ করুন (ওয়াজিব) কুরবানী ও তাওয়াফে জিয়ারত যদি না করে থাকেন, তবে আজ করে নিন। সম্ভব হলে মিনা থেকে সূর্যাস্তের পর্বে মিনা ত্যাগ করে মক্কা শরীফ চলে আসতে পারেন।
১৩ জিলহজ্জঃ
(৬ষ্ঠ দিন)
অদ্য মিনার সীমানাতেই যদি সুবহে সাদিক হয়ে যায় তবে সূর্য্য ঢলার পর তিন জামারাতেই কংকর নিহ্মেপ করে(ওয়াজিব) মক্কা শরীফ চলে আসুন এবং মক্কা শরীফ থেকে বিদায় হওয়ার পূর্বে তাওয়াফে বিদা করুন(ওয়াজিব)  ইজতেবা, রমল, সায়ী লাগবে না। মাতাফে দুই রাকাআত সালাত আদায় করে বায়তুল্লাহর দরজায় দাড়িয়ে অতি বিনয়ের সাথে নিজের জন্য, পিতা, মাতা, স্বীয় পরিবারসহ সারা দুনিয়ার জিন্দা-মুরদা মুসলিমদের জন্য প্রাণ খুলে দুআ করে বিরহ -বেদনা নিয়ে বায়তুল্লাহ থেকে শেষ বিদায় গ্রহণ করুন(আমি পাপী আপনার দেক দুআ পার্থী)।
{ কিতাবুল হজ্জ ও ওমরাহ কৃত কাজী আব্দুর রাজ্জাক | পৃ:১৪-১৫}
(পড়া চালু রাখুন)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন