পবিত্র হজ্জের তাওয়াফের বিধান সমূহ?(পর্ব-৯) - Alhera-1

""আল্লাহ'র বিধান ছাড়া কোন বিধান মানি না""

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

পবিত্র হজ্জের তাওয়াফের বিধান সমূহ?(পর্ব-৯)

‎بِسْــــــــــــــــــمِ-اﷲِالرَّحْمَنِ-اارَّحِيم‎
তাওয়াফের ফরজ ৩ টিঃ
(১) তাওয়াফের নিয়ত করা,
(২) নিজে তাওয়াফ করা,
(৩) বায়তুল্লাহর বাহিরে কিন্তু এর সীমানার মধ্যে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফের ওয়াজিব ৭ টিঃ
(১) ওজু অবস্থায়,  শরীর পাক-সাফ রাখা (হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় তাওয়াফ করা যাবে না)
(২) হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা, এর পর ডান দিক থেকে তাওয়াফ করা।
(৩) সতর ঢাকা অবস্থায় তাওয়াফ করা।
(৪) এক নাগারে সাত বার চক্কর দিয়ে তাওয়াফ পূর্ণ করা।
(৫) পায়ে হেটে তাওয়াফ করা, তবে অহ্মম ব্যক্তি খাটিয়া বা হইল চেয়ারে চড়ে তাওয়াফ করতে পারবেন।
(৬) হাতিমের বাহিরে দিয়ে তাওয়াফ করা।
(৭) সাত চক্কর শেষে মাক্বামে ইব্রাহিমের পিছনে গিয়ে দুই রাকাআত ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামাজ আদায় করা।

তাওয়াফে’র  সুন্নাত সমূহঃ
(১) তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।
(২) তাওয়াফ শুরুর পূর্বে হাজরে আসওয়াদের দিকে সোজা খাড়া হয়ে তাকবীরে তাহরিমার ন্যায় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো।
(৩) প্রতি চক্কর শেষে হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়া। (তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, অন্যের যেন কষ্ট না হয়)।
(৪) যে তাওয়াফের পর সায়ী আছে সেই তাওয়াফে ইজতিবা করা। (ইজতেবা হলো- ইহরামের চাদরের ডান মাথা বগলের নিচে দিয়ে বাম কাধের উপর ফেলে দেওয়া। মহিলাদের জন্য ইজতিবা নাই।)
(৫) যে তাওয়াফের পর সায়ী আছে সেই তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা।
(রমল বলে: হেলে দুলে জোর কদমে বীরের মত চলাকে) (মহিলাদের জন্য রমল নাই।)
(৬) বাকী চার চক্কর সাধারণ গতিতে শেষ করা।

তাওয়াফের নিষিদ্ধ কাজগুলিঃ
(১) ওজু ব্যতীত তাওয়াফ করা।
(২) হাজরে আসওয়াদ ব্যতীত অন্য কোন স্থান থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
(৩) নাপাকী ও ঋতুবর্তী অবস্থিয় তাওয়াফ করা।
(৪) তাওয়াফের ওয়াজিব ও রুকন গুলো থেকে যে কোন একটি ছেড়ে দেওয়া।
(৫) তাওয়াফের সময় হাতীমকে বাদ দেওয়া।
(৬) তাওয়াফের সাত চক্কর পূর্ণ না করা।
(৭) অহ্মম ব্যতীত হামাগুড়ি দিয়ে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফের মাকরুহ কাজ সমূহঃ 
(১) নাপাক কাপর পড়ে তাওয়াফ করা।
(২) হাজরে আসওয়াদ ইস্তিনাম (ইশারা) না করা।
(৩) অনর্থক কথা বলা।
(৪) বেচা-কেনা করা।
(৫) তাওয়াফে পানাহার করা।
(৬) সাত চক্কর শেষে দুই রাকাআত নামাজ না পড়ে পুনরায় তাওয়াফ শুরু করা।
(৭) সহ্মম হওয়া সত্বেও রমল ও ইজতিবা না করা।
(৮) তাওয়াফের নিয়ত করে তাকবির ব্যতীত কান পর্যন্ত হাত তোলা।
(৯) তাওয়াফের সময় নামাজের মত হাত বাধা অথবা কমরে অথবা ঘারে হাত রাখা।
(১০) উচ্চ স্বরে  দুআ ও কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।
(১১) নামাজ অথবা খুৎবার সময় তাওয়াফ করা।
(১২) চক্করের পর চক্কর দিতে অযথা বিলম্ব করা।
{ কিতাবুল হজ্জ ও ওমরাহ | পৃ:১২-১৩}
(পড়া চালু রাখুন)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন